বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবশেনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবন দানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ হতে দাও’।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংগঠন পৃথক পৃথকভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশে এমন এক সময়ে এবার মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হচ্ছে যখন নানাভাবে গণমাধ্যমের ওপর দলন ও নিপীড়ন চলছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যম, প্রায় সময়ই হয়রানির শিকার হচ্ছে সাংবাদিকরা।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০১৫ উপলক্ষে টিআইবির এক বিবৃতিতে, গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এদিকে, সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডাসের রিপোর্ট অনুযায়ী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ গত এক বছরে ১৫ ধাপ পিছিয়েছে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৪৪তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশও গত বছর ২২ ধাপ এগিয়েছে।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি সহিংসতা, সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের কোনো শাস্তি না হওয়া, সাগর-রুনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করায় বাংলাদেশের অবস্থান পেছানোর অন্যতম কারণ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী মহাজোট সরকারের আমলে ১৮জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৮ সাংবাদিকের ওপর হামলার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকার বাইরের ভিন্ন মতের ২০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন ডিসিদের দিয়ে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য নীতিমালা করা হচ্ছে। দৈনিক আমার দেশের প্রকাশনা বন্ধ রাখা হয়েছে। সিএসবি, চ্যানেল ওয়ানের পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার। এছাড়া একুশে টিভির কর্তৃপক্ষও হয়রানিমূলক মামলা ও হুমকির শিকার হচ্ছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/জামিল